Thursday, May 14, 2020

ছোট গল্প “মায়ের সাথে শেষ দেখা” ,রিয়াজ আলম

 মায়ে”র সাথে শেষ দেখা
রিয়াজ আলম

Add caption

 বেশ কিছুুদিন যাবত আমর মা ভীষণ অসুস্থতায় ভোগছিলেন তাই সুনামগঞ্জ,সিলেট সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা চলছিল এরই মধ্যে চিকিৎসার নিমিত্তে আমার মা আমার এক মামার বাসা সুনাসগঞ্জ শহরের সোমপাড়ায় অবস্থান করছিলেন। আমিও তখন ছুটিতে মায়ের সাথে শহরে এবং মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করছিলাম । এক পর্যায়ে আমর ছুটি শেষ হয়ে যায় তখন আমি আমার কর্মস্থলে চলে আসবো তাই আগের দিন সোমপাড়া গেলাম মায়ের সাথে সময় কাটালাম। পরের দিন চলে আসার মুহুর্তে  আমার মা আমাকে অনেক কষ্ট করে একটু রাস্তা আগাইয়া বিদায় দিচ্ছিলেন। রাস্তাটি ছিল সরু এবং বাঁকা  কিছুটা রাস্তা আগানোর পর আমি মাকে বললাম  তুমি বাসায় চলে যাও আর আসতে হবেনা আমি চলে যাচ্ছি কিন্তু মা রাস্তার এক পাশে দাড়িয়ে রইলেন  আমি  একটু এগিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে মাকে দেখার তীব্র ইচ্ছা নিয়ে পিছন ফিরে তাকাচ্ছিলাম কিন্তু রাস্তা বাঁকা হওয়ার কারণে মা কে দেখতে পারছিলামনা কেন জানি আত্বাটা ব্যকুল হয়ে উঠল মনে হচ্ছিল রাস্তটা যদি সোজা হত তবে হয়তো   আরেকবার  মাকে দেখতে পারতাম । কিন্তু  আপসোস এই দেখাই যে শেষ দেখা হবে কে জানত । সারা রাস্তায় বার বার মনে হচ্ছিল আহ যদি আরেকবার দেখতে পারতাম। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস  এর অল্প কিছুদিন পরেই মা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তখন মোবাইল ফোনের এতসহজ যোগাযোগের মাধ্যম ছিলনা এমন কি মায়ের মৃত্যুর সংবাদ যথাসময়ে না পাওয়ায় আমি সময়মত বাড়ীতে পৌছাতে পারিনি বিধায় আমার মায়ের সাথে আমার শেষ দেখা হয়নি। এমন কি কবরে এক মুঠো মাটিও দিতে পারিনি-শেযে  কি কষ্ট আমি লিখে বা বলে বুঝাতে পারবনা । জীবনের এই একটি বিষয় আমাকে খুব পিড়া দেয়। ভীষণ কষ্ঠ পাই আপসোস জাগে এই জায়গায় যতবার যাই ততবার মায়ের স্মৃতি ভেসে উঠে।  এই আপসোস এই কষ্ট কখন ভুলার নয়  ।